5 Tips about রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন You Can Use Today

পূর্ব ও পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের অবস্থা ও পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অটুট থাকা : এসবই ছিল পূর্ব আর পশ্চিম দিকের সাম্রাজ্যের পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। এসব বিষয়ের উপরে দুই অংশের রীতিনীতির পার্থক্যও পরিষ্কার হয়। প্রথম থিওডােসিয়াসের মৃত্যুর পর থেকে দেড় শতাব্দী পর্যন্ত পুরাে সাম্রাজ্য যেন মৌখিকভাবে জার্মানদের হাতেই চলে গেল। এই আগ্রাসন ততদিন পর্যন্ত চলল যতদিন রােমানরা নিজের থেকে পুরােপুরি জার্মান সংস্কৃতি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি না জানাল। পূর্বদিকে বলতে গেলে জার্মানদের মারাত্মকভাবে ঠেকানাে হচ্ছিল। রুফিনাসের মৃত্যুর পর থেকে উচ্চতর পদে জার্মানদের বসানাের মানুষেরা নিজেদের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার টানাপােড়েন অনুভব করছিল যতদিন না প্রথম লিওর নির্দেশে বেশিরভাগ নিয়ােগ হয়েছিল ইসাউরিয়ানদের মধ্যে থেকে এবং সেই প্রদেশে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে থেকে। নিজেদের লােকদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করা হলাে যেন তারা বাইরের শত্রুকে মােকাবেলা করতে পারে। এভাবেই পূর্বদিকের সাম্রাজ্যকে অটুট রাখার চেষ্টা চালানাে হচ্ছিল এবং সেটি অন্তত সংস্কৃতির দিক থেকে পরবর্তী কয়েক হাজার বছরেও অটুট ছিল।

চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো ও কার্যকরভাবে শাসন করতে পারছিলো না তারা। স্থানীয় বিদ্রোহ ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সেনাবাহিনী যোগাড় করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিলো তাদের। সেনাবাহিনীকে জিইয়ে রাখতে গিয়ে গবেষণামূলক কাজে অর্থের সংস্থান অনেক কমে গিয়েছিলো। ফলে প্রযুক্তিগত অনগ্রসরতা তাদের পতনের পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো।

আজও ভ্যাটিকান চার্চের অবস্থানও কিন্তু রোমের ভেতরেই এবং অধিকাংশ খ্রিস্টানই রোমান ক্যাথলিক।

ম্যাক্রিনাসের ক্ষমতা গ্রহণ : সম্রাটকে বন্দী করে হত্যা করার পরে ম্যাক্রিনাস (রা. ২১৭-১৮ খ্রি.) স্বঘােষিত সম্রাট বনে যান। তিনি ছিলেন মৌরিতানিয়ায় জন্মগ্রহণকারী, মধ্যবিত্ত শ্রেণির একজন মানুষ। তিনি কখনও সিনেটরও হতে পারেননি। তিনিই ছিলেন রােমের প্রথম সম্রাট যিনি সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে সরাসরি সম্রাটের সিংহাসনে আসীন হয়েছেন। ম্যাক্রিনাসকে সম্রাট হিসেবে সাদা চোখে ভালােই মনে হয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় বসে প্রথমে কিছু জিনিসের ওপরে করের হার কমিয়ে দিলেন। আরেকটি কাজ তিনি করলেন যেটি সবসময় ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি সেনাবাহিনীর ভাতা কমিয়ে দিলেন। কিন্তু শৃঙ্খলার দায়িত্ব খানিকটা বাড়িয়ে দিলেন। দুর্ভাগ্যবশত অনেক কিছুই ঠিকমতাে চলছিল না। পার্থিয়ানরা ক্যারাক্যালার মৃত্যুর পরে সাম্রাজ্যে কিছুটা অরাজকতার সুযােগ পেয়ে সিরিয়ায় অনুপ্রবেশ করল। তারা রােমানদের মােটামুটি হারিয়েই দিলাে। ম্যাক্রিনাস এমন সব শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হচ্ছিলেন যা সেনাদের মধ্যে ভীষণ রােষের সৃষ্টি করল। এই অসন্তোষ যথারীতি তাদের সিংহাসনের দিকে নিজ নিজ প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে আন্দোলনের জোগাড় করতে লাগল।

)। বােয়েথিয়াস ছিলেন একজন খ্রিস্টান, তবে তার ধর্মের আদর্শের কথা কোনাে লেখায় প্রতিফলিত হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্যাগান রােমান রাজ্যের উপরে স্টয়সিজমের একটি প্রচ্ছন্ন ছায়া লেগেই ছিল। তিনি অ্যারিস্টটলের কিছু লেখা ল্যাটিনে অনুবাদ করেছিলেন। এছাড়াও সিসেরাে, ইউক্লিড এবং প্রাচীন কিছু দার্শনিকদের নিয়ে মন্তব্যধর্মী রচনাও লিখেছিলেন। এসব কাজ বেঁচে ছিল মধ্যযুগের মধ্যভাগ পর্যন্ত। প্রাচীন যুগের সেসব কাজগুলাে পরে হারিয়ে গেলেও বােয়েথিয়াসের লেখাগুলাে প্রাচীন যুগের শেষ আলােটুকু ছড়াতে পেরেছিল অনেকদিন।

রোম সাম্রাজ্যের উত্থান (পর্ব ১৮): দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধ ২০৯-২০৭ খ্রি.পূ.

যুদ্ধবিরতিকালে রোমের সার্ডিনিয়া, কর্সিকা, কর্সিরা ও সিসালপাইন গাউল জয়

হানদের নেতা অ্যাটিলার পরাজয়, ঈটিয়াস ও তৃতীয় ভ্যালেন্টিনিয়ানের মৃত্যু

তবে প্রসিদ্ধ মত হিসেবে যেহেতু পশ্চিম রোমের পতনকেই রোমের পতন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে, তাই আমরাও সেই একই পথে হাঁটছি। সেই পথেই হাঁটতে হাঁটতে চলুন রোমের পতনের মূল কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

এবারের কারণটাও বেশ বিস্ময়কর। রোমের পতনের অন্যতম কারণ ছিলো পর্যাপ্ত দক্ষ শ্রমিকের অভাব। রাজ্যটির অর্থনীতি অনেকাংশেই ক্রীতদাসদের শ্রমের উপর নির্ভরশীল ছিলো। আর রাজ্য জয় করে বিজিত অঞ্চলগুলোর লোকজনদের সেনাবাহিনী সেসব কাজেই লাগাতো। কিন্তু দ্বিতীয় শতকে রাজ্যের সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে গেলে থেমে যায় ক্রীতদাসদের সরবরাহ, বন্ধ হয়ে যায় যুদ্ধ জয় থেকে সম্পদ লাভের প্রক্রিয়া। ওদিকে পঞ্চম শতাব্দীতে ভ্যান্ডালরা উত্তর আফ্রিকা দাবি করে বসে, ভূমধ্যসাগরে চালাতে শুরু করে দস্যুপনা।

অবশেষে আসে ৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দ। জার্মানীয় নেতা ওদোয়াচারের নেতৃত্বে সংঘটিত বিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুত হন সম্রাট রমুলাস অগাস্টাস। অনেকের মতে ৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দের সেই আঘাতই পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছিলো।

এক সময়ে সর্বস্তরে এমনকি উচ্চ পর্যায়েও খ্রিস্টধর্ম প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। এরকম পরিস্থিতিতে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের শুরুর দিকে রোমান সম্রাট কন্সটানটাইন নিজে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং তিনিই প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে খ্রিস্টধর্মের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনে নির্দেশ জারি করেন। তবে খ্রিস্টধর্মকে রোমের একমাত্র বৈধ রাজধর্মের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল আরও ৭০ here বছর পরে সম্রাট থিওডোসিয়াসের সময়। পরবর্তী এক হাজার বছর খ্রিস্টধর্মের রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এই রোমানরাই। রোম হয়ে ওঠে খ্রিস্টধর্মের সমার্থক!

পম্পেই-ক্র্যাসাস-সিজার এর ত্রিশাসন বা ট্রায়াম্ভিরেট

রোম সাম্রাজ্যের উত্থান (শেষ পর্ব): অতীতের সমাপ্তি – নতুনের অভ্যুদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *